পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ | Bengali New Year Pohela Boishakh

Bengali New Year Pohela Boishakh

পহেলা বৈশাখ বাঙালীর বাংলা নববর্ষ উৎযাপন দিবস, এই দিনটি প্রতিটা বাঙালি নারী পুরুষের কাছে অপার প্রতীক্ষার একটি দিন কারণ এই দিনটিতে সব বাঙালি তাদের ঐতিহ্য প্রকাশ করে ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সাথে, দিনটি উৎযাপন করে নিজেস্ব সংস্কৃতিক বিনোদনের সাথে।

এই দিনে বাঙালি মেয়েরা শাড়ি ও হাতের তৈরি মাটি, কাঠ,ও পুঁথির বিভিন্ন গহনায় নিজেকে সজ্জিত করে আর ছেলেরা ধুতি ও পাঞ্জাবী পরে বেরহয় একে অপরের সাথে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য।

পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় ও সংস্কৃতিক সঙ্ঘ থেকে বাঙালি কবিতা আবৃতি, বাঙালি গান ও নাট্যউৎসব সহ বিভিন্ন সংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

কবিতা ও গানের প্রসঙ্গ যখন আসে তখন নোবেলজয়ী বাঙালি বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্থান সকল বাঙালির মনে ও তার শু চরণে সব বাঙালীর মাথা শ্রদ্ধার নত হয় কারণ বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও বিশ্বের দরবারে পৌঁছাতে তার অবদান সবার উপরে তিনি সমগ্র শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ।

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানটি দিয়ে বাঙালী নতুন বছর নববর্ষের আহ্বান করা হয়। আত্ম সংস্কৃতির টানে কোনো বাঙালি এই দিনে ঘরে বসে থাকতে পারেনা।

Bengali New Year

Bengali New Year Pohela Boishakh – নববর্ষ ও ব্যাবসায়িক হালখাতা উৎযাপন

নববর্ষ বাঙালীদের কাছে একটি খুবই শুভদিন মনে করা হয় এই দিনে সকল নতুন ব্যাবসায়ী চায় তার ব্যবসার শুভ আরম্ভ করতে। তাছাড়া নতুন বানানো ঘর বা বাড়িতে প্রবেশের শুভ সময় মানা হয়ে থাকে শত শত বছর পূর্ব থেকে।

প্রতিষ্ঠিত পুরাতন ব্যাবসায়ীরা এই দিনের একদিন পূর্বেই তাদের ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার পরিছন্ন করে রাখে। এবং পহেলা বৈশাখের পূর্বেই তাদের সকল ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখে শুভ দিনে প্রতিষ্ঠানে আগমনের জন্য।

পহেলা বৈশাখের সকালে ব্যাবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্ৰতিষ্ঠানকে ফুলের মালা ও বিভিন্ন অভ্যর্থনা মূলক বিজ্ঞাপনে সাজিয়ে রাখে। পুরাতন ক্রেতারা এই দিনে আসে তাদের বাকির সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে কিছু টাকা অগ্রিম হিসেবে জমা করে নতুন খাতায় নাম লেখান এটাকেই হালখাতা বলা হয়ে থাকে।

আর প্রতিষ্ঠানের বা ব্যাবসায়ীর তরফ থেকে এই আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য জলপান ও মিষ্টির শু বন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে একে অপরকে আনন্দিতও ভালবাসার ব্যাবসায়িক বন্ধনে আবদ্ধ করে।

এই আমন্ত্রিত অতিথি আপ্যায়নের প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বাহারি রকমের লাড্ডু যা একএক অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদও সুগন্ধে হয়ে থাকে। লাড্ডু ছাড়া বাঙালীর পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উৎযাপন সম্পূর্ণ পূর্ণতা পায় না।

Bengali New Year Pohela Boishakhi Mela – পহেলা বৈশাখের বৈশাখী মেলা

বাঙালিদের পহেলা বৈশাখের প্রতীক্ষার আরো একটি প্রধান কারণ হচ্ছে Boishakhi Mela বৈশাখী মেলা, বৈশাখের প্রথমদিন বা পহেলা বৈশাখ থেকে প্রতন্ত গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মাঠে বড় কিংবা মাঝারি পরিসরে এটির আয়োজন করাহয়ে থাকে।

মেলার প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে নাগরদোলায় চড়া, ছোট থেকে বড় নারী থেকে পুরুষ সবাই চড়তে ভালবাসে। বাংলা নববর্ষ বৈশাখ মাসের প্রথমদিন কিংবা দ্বিতীয় দিন থেকেই এই মেলার আরম্ভ হয়ে দুই থেকে সাতদিন পর্যন্ত মেলা বসে।

এই মেলার প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে মাটির স্বাদ মাটির গন্ধ, আমি বলতে চাইছি এই মেলায় স্থানীয় ভাবে হাতে তৈরী করা বিভিন্ন মাটির খেলনা পুতুল ও বিভিন্ন মজার সামগ্রী বিক্রিতে প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে।

আর খাওয়ার জিনিসের মধ্যে বাংলার বিভিন্ন জনপ্রিয় খাবার ও মুড়ি, মুড়কি, নিমকি, মিষ্টি, জিলিপি ও হরেক রকমের পিঠার ও প্রচলন রয়েছে।

Read More

Global Seed Vault Bank | বিশ্ব ফসল শস্য বীজ সংরক্ষণাগার কেন্দ্র