ভূপেন হাজারিকা জীবনী | Bhupen Hazarika Biography in Bengali

ভূপেন হাজারিকা একজন স্বনামধন্য কণ্ঠ শিল্পী এবং সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব বাংলা, অসমীয়া, হিন্দি ও বিভিন্ন ভাষায় তার এক একটি গান তাকে কিংবদন্তীতুল্য জনপ্রিয়তায় পৌঁছে দিয়েছে সংগীতে তার অবদান খুবই উচ্চস্তরের।

তার সঙ্গীতের স্বর ও গানের জন্য তার জনপ্রিয়তা ছিল আন্তর্জাতিক স্তরের ভারত ছাড়াও তার বাংলা গানের জন্য বাংলাদেশে বিশেষভাবে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ছিলেন, তার গানে বাংলাভাষী, হিন্দিভাষী এবং অসমীয়া শ্রোতা সারা বিশ্ব থেকে তাকে ভালোবাসা দিয়ে গেছেন।

ভূপেন হাজারিকা

ভূপেন হাজারিকা – Bhupen Hazarika Biography in Bengali

ভূপেন হাজারিকার জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৬ সালে ভারতের আসাম রাজ্যের সাদিয়া নামক স্থানে। তার পিতার নাম নীলকান্ত হাজারিকা মায়ের নাম শান্তিপ্রিয়া হাজারিকা। ভূপেন হাজারিকা পরিবারের প্রথম সন্তান তার ছোট আরও নয়জন ভাই বোন রয়েছে।

ভূপেন হাজারিকা জনপ্রিয় বাংলা গান

  • আজ জীবন খুঁজে পাবি
  • হে দোলা হে দোলা
  • গঙ্গা আমার মা
  • মানুষ মানুষের জন্য
  • আমি এক যাযাবর
  • বিস্তীর্ণ দুপারের
  • মেঘ থম থম করে
  • সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ
  • সাগর সঙ্গমে
  • আমরা করবো জয়

পুরস্কার ও সম্মান

9তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে (1961) অসমীয়া ভাষায় শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্মের পুরস্কার (শকুন্তলা; ভূপেন হাজারিকা পরিচালিত)

23তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে (1975) “চামেলি মেমসাব” (চামেলি মেমসাব; ভূপেন হাজারিকার সঙ্গীত) জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক জাতীয় পুরস্কার

পদ্মশ্রী – ভারতের প্রজাতন্ত্রের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার (1977)

অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে “উপজাতীয় কল্যাণে অসামান্য অবদান এবং সিনেমা ও সঙ্গীতের মাধ্যমে উপজাতি সংস্কৃতির উত্থানের জন্য গ্লোড মেডেল” (1979)

সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (1987)

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (1992)

পদ্মভূষণ – ভারতের প্রজাতন্ত্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার (2001)

সঙ্গীত নাটক আকাদেমি ফেলোশিপ (2008)

অসম রত্ন – ভারতের আসাম রাজ্যের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার (2009)

ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার, বাংলাদেশ সরকার (2011)

পদ্মবিভূষণ – ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার (2012, মরণোত্তর)

ভারতরত্ন, ভারতের প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার (2019, মরণোত্তর)

ভূপেন হাজারিকার মৃত্যু 

ভূপেন হাজারিকাকে 30 june ২০১১ সালে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে এবং মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে শারিরীক অসুস্থতার জন্য ভর্তি হতে হয়। 

দীর্ঘদিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকার পরে ৫ নভেম্বর ২০১১ সালে মাল্টি-অর্গান ফেইলিউড়ের কারণে তার মৃত্যু হয়।  ৮৫ বছর বয়সে জীবনাবসান হলেও এই মহান মানুষটি তার কর্মের মাধ্যমে মানুষের মনের খুব কাছেই রয়েছেন ও থাকবেন আজীবন।

Please Note: ভূপেন হাজারিকার জীবনী Bhupen Hazarika Biography in Bengali সম্পর্কে আপনার কাছে যদি আরও তথ্য থাকে, বা আপনি যদি প্রদত্ত তথ্যে কিছু ভুল খুঁজে পান, তাহলে অবিলম্বে মন্তব্য এবং ইমেলে আমাদের লিখুন, আমরা এটি আপডেট করতে থাকব, ধন্যবাদ।

আরও জীবনী পড়ুনঃ

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী | Upendrakishore Ray Chowdhury in Bengali

Leave a Comment

error: Content is protected !!