আইফেল টাওয়ার ইতিহাস ও তথ্য | Eiffel Tower History in Bengali

Eiffel Tower History in Bengali

আইফেল টাওয়ার ফ্রান্স এর রাজধানী প্যারিসে অবস্থিতি এটি শুধু একটি ইস্পাতের কাঠামেই নয় এটি নির্মাণকাল সময়থাকেই ফ্রান্সের আভিজাত্য ও পরিচিতির প্রতীক হয়ে রয়েছে।

কারণ আইফেল টাওয়ার পৃথিবীর প্রথম টাওয়ার যেটিকে শুধুমাত্র প্রতীক এর জন্য নির্মাণ করা হয়েছিলো কোন রকম বাণিজ্যিক ভাবনা ছাড়াই। আর এই টাওয়ারটি দীর্ঘ ৪০ বছর পৃথিবীর সবথেকে উঁচু বিল্ডিং বা টাওয়ারের মর্যাদা ধরে রেখেছিলো।

আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের জাতীয় ও গৌরবের প্রতীক হওয়ার সাথে সাথে এটি সমস্ত ইউরোপের ও পরিচিতির একটি অন্যান্য নিদর্শন। সমস্ত ইউরোপে খুব কমই নিদর্শন রয়েছে যেটি এই টাওয়ারের থেকে বেশি জনপ্রিয়।

ফ্রান্সের আগত পর্যটক ও বিভিন্ন দর্শনার্থীদের কাছে আইফেল টাওয়ারটি ভ্রমণ ও বিনোদনের প্রধান আকর্ষণ বলে বিবেচিত হয়। ফ্রান্সের অর্থনীতির ও টুরিস্ট আয়ের প্রধান স্পটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

Eiffel Tower in Bengali

আইফেল টাওয়ার নির্মাণের শর্ত – Eiffel Tower History

আইফেল টাওয়ার নির্মাণ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের স্বাধীনতার স্বারক বা খুশিতে এটি নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। তবে প্রথমে ফ্রান্সের সরকার কিছুটা সময় নিয়ে ও কিছু শর্তে এই টাওয়ারটি নির্মাণের প্রস্তাবে অনুমতি প্রদান করে।

আইফেল টাওয়ারের উঁচু ৩০০ মিটার হতে হবে
আইফেল টাওয়ার টি মেটাল এর নির্মাণ হতে হবে
আইফেল টাওয়ারের চারটি স্থম্ভের প্রতিটার দূরত্ব ১২৫ মিটার দূরত্বের ব্যাবধান হতে হবে।
এই টাওয়ারটির নির্মাণের পূর্বে সরকারি নির্দেশে প্রায় একশো এর অধিক নকশাবিদ একসাথে তাদের অংকিত নকশা ফ্রান্স সরকারের কাছে জমা করেন অনুমোদন পাওয়ার জন্য। কিন্তু গুস্তাফ আইফেল এর আঁকা এই নকশাটি অনুমোদন দেয়া হয়।

গুস্তাফ আইফেল ছিলেন আইফেল টাওয়ার নির্মাণের পূর্ব থেকেই একজন নামকরা নকশাবিদ তিনি ফ্রান্সের পক্ষথেকে আমেরিকাকে উপহার হিসেবে দেয়া statue of liburty স্টেট টির স্তম্ভের প্রধান নকশাটি এঁকেছিলেন।

আইফেল টাওয়ার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় – Eiffel Tower History in Bengali

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানীর শাসক হিটলার যখন ফ্রান্সে আসেন তিনি আইফেল টাওয়ারটি পরিদর্শনে যান এবং ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর প্রমুখ জেনারেল কে নির্দেশ দেন টাওয়ারটি ভেঙে ফেলতে।

কিন্তু ফ্রান্সের সেনা জেনারেল পরবর্তীতে হিটলারের এই নির্দেশ মানতে অগ্রাহ্য করেন। কারণ আইফেল টাওয়ারটির প্রতি ফ্রান্স ও পুরো ইউরোপের মানুষের বাড়তে থাকা আকর্ষণ ও রেডিও যোগাযোগের এন্টেনার টাওয়ার হিসেবে এটির ব্যবহার এর প্রয়োজনই আইফেল টাওয়ারকে হিটলারের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়াছিলো।

Read More