বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী | Khudiram Bose Biography in Bengali

Khudiram Bose Biography in Bengali

ক্ষুদিরাম বোস ছিলেন দেশের কনিষ্ঠ ও সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লবী, যিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ক্ষুদিরাম বোসের জীবনদান দেশজুড়ে স্বাধীনতা লাভের আন্দোলনকে তীব্র করে তুলেছিল এবং দেশবাসীর মধ্যে দেশপ্রেমের অনুভূতি গড়ে উঠেছিল।

মহান বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস, যিনি আঠারো বছর আট মাস আট দিন বয়সে দেশের জন্য মারা গিয়েছিলেন এবং তাঁর বীরত্বকে অমর করেছিলেন। তার সংগ্রাম ও ত্যাগের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য অনেকগুলি লোকসঙ্গীত বিভিন্ন ভাষায় রচিত হয়েছে। ক্ষুদিরাম বসু স্বাধীনতা ইতিহাসে অগ্নি পুরুষ নামেও পরিচিত।

ভারতের কনিষ্ঠতম বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসু – Khudiram Basu in Bengali

Khudiram Bose

এক নজরে শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের জীবন বৃত্তান্ত – Khudiram Bose Biography in Bengali

নাম (Name) ক্ষুদিরাম বসু .
জন্ম (Born) ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ সালে, মেদিনীপুর জেলায়
পিতা (Father Name) ত্রৈলোক্যনাথ বসু .
মাতা (Mother Name) লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী
মৃত্যু (Death) ১১ অগাস্ট ১৯০৮ সালে (মৃত্যুদণ্ড)

বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্মহয় ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মেদিনীপুর শহরের খুব কাছে মৌবনী গ্রামে। তার জন্মস্থান বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার অন্তর্গত। তার পিতা ছিলেন তৈলোক্যনাথ বসু আর মায়ের নাম ছিল লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী, ক্ষুদিরামের পিতা কর্মসূত্রে ছিলেন নাড়াজেলের তহসিলদার, তিন কন্যার পরে ক্ষুদিরাম তাদের প্রথম পুত্রসন্তান।

ক্ষুদিরাম বসুর বয়স যখন সবে মাত্র পাঁচ বছর তখন তিনি তার মাকে হারান, আর তার মাত্র এক বছরের ব্যাবধানে তার পিতার ও মৃত্যু হয়। ছয় বছরের ছোট ক্ষুদিরামকে তার বড় দিদি অপরূপা রায় তার কাছে নিয়ে আসেন। তিনিই তাকে মায়ের স্নেহে বড়ো করেন আর তমলুক হ্যামিল্টন হাই স্কুলে ভর্তি করেন।

অপরূপা রায় ও তার স্বামী অমৃতলাল রায়ের সঙ্গে ক্ষুদিরাম ১৯০৪ সালে মেদিনীপুর শহরে চলে আসেন সেখানে অমৃতলাল রায় ক্ষুদিরামকে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তির ব্যাবস্থা করেন।

ক্ষুদিরাম বসুর নামের কাহিনী

ক্ষুদিরাম বসুর তিন বড় বোন ছিলেন আর তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান, তার পূর্বে ক্ষুদিরাম বসুর দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয় জন্মের পরেই। সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী তার বড়বোন অনুপমা রয় তিন মুঠি চালের (চালের খুব) বিনিময়ে তাকে কিনে নেন। সেই থেকেই তার নাম হয় ক্ষুদিরাম।

Read More