Mohammed Rafi, মোহাম্মদ রফি বিখ্যাত ভারতীয় গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক, তার মধুর কণ্ঠের গানে পরিচিতি ও সুখ্যাতি দেশে দেশে।

মহান গায়ক মোহাম্মদ রফিক গানকে ভালোবেসে জীবনের সকল পিছুটান এবং দরিদ্রকে পিছনে ফেলে মধুর কণ্ঠে সকলের মনোরঞ্জন করতে মুম্বাই চলে আসেন।
সদ্য মুম্বাইতে আসা মোহাম্মদ রাফি মুম্বাইয়ের ভিড় ভার এলাকা Bhendi Bazaar, in Mumbai এ অনেক দিন বসবাস করতে থাকেন।
মুম্বাইতে প্রথম কিছু সময় তাকে খুবই কষ্টে জীবনযাপন করতে হয়, ভারতীয় ফিল্মে কণ্ঠ দায়ের জন্য মোহাম্মদ রফিক বিভিন্ন সুরোকারের কাছে ঘুরতে হয়।
মোহাম্মদ রাফির সেইরকম বিশেষ কোন নেশা ছিলনা তবে কিছু নেশা এমন ছিল যা সবাতকে অবাক করছিলো তার একটি হল ঘুড়ি উড়ানো, তিনি ঘুড়ি উড়াতে খুব ভাল বাসতেন।
মোহাম্মদ রাফি তার ছেলে মেয়ে দেড় নিয়ে ছিনেমা দেখতে ভাল বাসতেন, তবে সিনেমা শুরু হওয়ার পনেরো মিনিট পরে হলে প্রবেশ করতেন।
আর সিনেমা শেষ হবার পনেরো মিটিত আগেই হল থেকে বেরহয়ে আসতেন যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে, তার বাচ্চাদের বক্তব্য বাবার সাথে আমরা যত সিনেমা দেখছি তার শুরু আর শেষ দেখা হয়নি।
মোহাম্মদ রফি সংসার জীবন
ভারত ভাগ হওয়ার কিছু বছর আগেই মোহাম্মদ রাফি বিবাহ করে ছিলেন, ভারত ভাগের সময় রফির সংসারে একটি সন্তান ছিল। তখন তিনি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছিলেন।
তাই ভারত ভাগ হওয়ার সময় মোহাম্মদ রফি নির্ণয় করেন তিনি ভারতেই খাবেন কিন্তু তার বিবি নির্ণয় করেন তিনি ভারতে থাকবেন না পাকিস্তানে চলে যাবেন, পরিণতি তাদের সংসার ও ভাগ হয়ে যায়।
Mohammed Rafi – মোহাম্মদ রফির মৃত্যু
31 Julay, 1980 সালে মোহাম্মদ রফি সাবের মিত্তু হয়, সেই দিন ও তিনি রিহার্সেল করার জন্য ষ্টুডিও তে গেয়েছিলেন তার শারীরিক অবস্থা দেখে সকলে তাকে বিশ্রাম এবং ডাক্তারের কাছে যেতে অনুরোধ করেন।
কিন্তু গানকে মন থেকে ভালবাসতে জানা এই মানুষটি সবাইকে অনুরোধ করেন মিওজিক বাজাতে, গানের রিহার্সেল যত চলতে থেকে তার শরীর ও আরও খারাপ হতে থাকে।
এই ঘটনা দেখে সকলে মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেন কিন্তু হাসপাতাল থেকে খুব বড় দুঃসংবাদ সে আসতে চলছে সেটা কেউ কল্পনা ও করেনি।
মোহাম্মদ রাফি সাবের মৃত্যুতে সমস্ত ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি স্তব্ধ হয়ে যায় ও ভারতের সকল সাধারণ জনতা যারা তাকে জানেন সবাই চোখের জল ধরে রাখতে পারেন নি।
খুব সাধারণ আর শৃঙ্খলা বদ্ধ ধর্মীয় অনুশাসনে জীবন কাটানো কালের এই মহান সংগীত শিল্পীর অবদান ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আজও সমান মহিমা ময়।
আরও পড়ুন: