Vande Mataram National Song of India History in Bengali
বন্দে মাতরম দেশপ্রেমের চেতনায় সদা অনুপ্রাণিত একটি গান, ভারত মাতার সমস্ত বিপ্লবী সন্তানেরা এই চেতনার মন্ত্রকে মনে স্থান দেয়াছিলেন ও মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তেও বন্দে মাতরম বলেছেন গুলি খেয়েছেন হাসতে হাসতে।
বাংলার নতুন ধারণ সাহিত্যের রূপকার সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই সংগীতটি রচনা করেছিলেন, তার লিখা আনন্দমঠ গ্রন্থে এই দেশ প্রেমের গানটি প্রকাশিত হয়।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে তার নিজ বাড়ি নৈহাটির উদ্যেশে যাওয়ার সময় ট্রেনে বসেই এই গানটি রচনা করেন।
১৮৭০ থেকে ১৮৮০ দশকের সময়ে ভারতীয় ইংরেজ শাসকরা গড সেভ দা কুইন নামক একটি গান গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। Bankim Chandra Chatterjee বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সেই সময়ে কর্মসূত্রে সরকারি কর্মচারী ছিলেন, তিনি তার বাবার মতই ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে যশোরে নিযুক্ত হন।
বলা হয়ে থাকে সেই সময় ইংরেজদের জোর করে চাপিয়ে দেয়া সংগীত তার মনে ভাবনার উদয় ঘটায়, তিনি মনে স্থির করেন স্বদেশী ভাষায় একটি সংগীত রচনার যা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হবে।
বন্দে মাতরম গানে ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণ পূর্ব থেকে পশ্চিমে যতই এই গানটি ছড়িয়ে পড়েছিল ততই ভারতের মানুষের মধ্যে স্বদেশী ভাবনা ও একতার বিস্তার ঘটায়।
Vande Mataram Song History – বিপ্লবী চেতনা
১৮৯৬ সালে কলকাতায় হওয়া ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাওয়া হয় বন্দে মাতরম গানটি, আর এটি গেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে।
সর্ব কনিষ্ঠ বিপ্লবী হিসেবে ফাঁসির কাষ্ঠে জীবন দান করা শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ফাঁসির কাষ্ঠে বন্দে মাতরম উচ্চারণ করে ফাঁসির দড়ি গলায় জড়িয়ে নেয়।
তার পরে সকল স্বাধীনতার সংগ্রামী বিপ্লবী নেতারা তাদের ফাঁসির পূর্বে বন্দে মাতরম গেয়েছেন, ইংরেজ দেড় গুলিতে জীবন দেয়া মাতঙ্গিনী হাজরা তার শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন বন্দে মাতরম উচ্চারণ করেন।
তবে তার এই গানের দুটি লাইনে দেবী দুর্গার প্রার্থনা রয়েছে তাই এই গানটিকে ন্যাশনাল এনথেমের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হয়,
কারণ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের অন্য ধর্মের দেবতাদের প্রশংসা করা বারণ, তার জায়গায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখেন Indian National Anthem, Jana Gana Mana গানটি।
অনুরোধ:
Vande Mataram Song History এই লিখাটি আপনাদের কেমন লাগল কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না এবং সংশোধন ও সংযোজনের জন্য আমাদের কে লিখতে পারেন।
Read More