Helicopter Money in Bengali
২০২০ সালের বিশ্ব মহামারী পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অর্থনীতিবিদের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতির উন্নতির জন্য একটি কথা বলা হয়েছে সেটি হচ্ছে হেলিকপ্টার মনির ব্যবহার। এই হেলিকপ্টার মানি কি সেটাই চলুন জেনে নেই।
হেলিকপ্টার মানি নিয়ে সবার মধ্যেই কৌতূহলের শেষ নেই এই টাকা কি হেলিকপ্টার থেকে ছড়ানো হয়ে থাকে কিংবা কাদের জন্য এই হেলিকপ্টার মনি ? চলুন আমরা জেনে নেই বিস্তারিত।

Helicopter Money in Bengali – প্রথম ধারণা কে করেছিলেন?
হেলিকপ্টার মনির প্রথম ধারণা নিয়ে আসেন আমেরিকান নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ Milton Friedman, মিল্টন ফ্রিয়ডমান। তিনি হেলিকপ্টার মানিকে এমন ভাবে বর্ণনা করেন যে।
যখনি কোন দেশের সরকার আর্থিক ব্যাবস্থায় নিন্মমুখী হয় ও সেটা দীর্ঘয়িত হয়, তখন সেই দেশের রিসার্ভ ব্যাংকের উচিত অধিক পরিমানে মুদ্রা ছাপিয়ে সরকারকে দেয়া আর সরকারের কাজ সেই টাকা বিনামূল্যে নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা।
কি করে বিতরণ করা হয়?
হেলিকপ্টার মানি নাম হলেও এই ব্যাবস্থায় টাকা কখনোই হেলিকপ্টার থেকে ছড়ানো হয়না, বরং সকল নাগরিকের ব্যাংকে একাউন্টের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরন করা হবে।
হেলিকপ্টার মানি – কিভাবে কাজ করে?
এই ব্যাবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য হল যে কোন নাগরিকের হাতে সরকারের তরফ থেকে টাকা পৌঁছে দেয়া যাতে তারা বিভিন্ন জরুরী কাজে জনগণ খরচ করতে পারে ও সবার ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিপায়।
কারণ বিভিন্ন কারণে যখন আর্থিক মন্দা দেখাদেয় তখন স্বাভাবিক ভাবে সাধারণ নাগরিকের কাছে অর্থ পৌঁছানোর গতি কমে যায়। বাজারে নগদের জোগান কমে যায় ও মানুষের কাছে টাকা না থাকার কারণে তারা বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করা বন্ধ করে দেয় নয়তো কমিয়ে দেয়।
আর তার প্রভাব পরে দেশের শিল্প উৎপাদন খাতে, কারণ বাজারে চাহিদা কমেগেলে উৎপাদিত পণ্য গুদামেই জমা হয় নতুন উৎপাদিত পণ্য মজুদ করার স্থান সংকট হয়ে পরে, আর দীর্ঘ কালিন বিক্রয় কমতে থাকলে তার প্রভাব সরাসরি উৎপাদন ক্ষেত্রে পরে।
তখন চাহিদা না থাকায় উৎপাদন কমাতে বিভিন্ন কোম্পানি বাধ্য হয় কেউ আবার নির্দিষ্ট কিছুদিন উৎপাদন বন্ধ রাখে মজুদ পণ্য বাজারে ছেড়ে নগদের যোগানের জন্য। তবে সব কোম্পানির ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে পুনরায় উৎপাদনে ফিরে আসা সম্ভব হয়না।
হেলিকপ্টার মানির কিছু অসুবিধা
এই ফর্মুলার কিছু নেগেটিভ দিক এখন আমরা জানব, এই ব্যাবস্থার প্রধান কিছু নেগেটিভ দিকের মধ্যে একটি হচ্ছে বহির বিশ্বের কাছে সেই দেশের মুদ্রার মুল্য কমে যাওয়া, কারণ তখন সব দেশ জানে সেই দেশের কাছে প্রয়োজনের বেশি টাকা রয়েছে। তাই তারা মুদ্রার বিনিময় মূল্য কমিয়ে দেয়।
তাছাড়া জনগণ যদি এই টাকা বাজারে খরচ না করে তাহলে এর প্রভাব সুদূর প্রসারি হয়, আবার জনগণ যদি দরকারের অধিক নির্দিষ্ট কিছু পণ্য কিনতে শুরুকরে তাহাতে বাজারে চাহিদা ও যোগানের ঘাটতির জন্য জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যেতে পারে ইত্যাদি।
Read More